প্রকাশিত: Wed, Dec 13, 2023 12:53 PM
আপডেট: Sat, Jun 28, 2025 4:59 PM

[১]নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ৬ আন্তর্জাতিক সংগঠনের উদ্বেগ

সালেহ্ বিপ্লব: [২] রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী বছর ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং নাগরিক সমাজের জন্য স্থান সংকুচিত হওয়ায় আমরা বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

[৩] বিবৃতিতে বলা হয়, রাজনৈতিক বিরোধীদের সমন্বিত র‌্যালি ও প্রতিবাদ বিক্ষোভের পর এ বছর অক্টোবরের শেষের দিক থেকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এসব প্রতিবাদকারী ও রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীকে দমন করতে সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। এই দমনপীড়নে একজন সাংবাদিকসহ ১৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে। 

[৪] বিবৃতিতে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করতে হবে। এর মধ্যে আছে জাতিসংঘের ‘বেসিক প্রিন্সিপালস অন দ্য ইউজ অব ফোর্স অ্যান্ড ফায়ারআর্মস বাই ল এনফোর্সমেন্ট অফিসিয়ালস’ এবং জাতিসংঘের ‘হিউম্যান রাইটস গাইডেন্স অব লেস-লেথাল উইপন্স ইন ল এনফোর্সমেন্ট’।

[৫] বিবৃতিতে বলা হয়, গণহারে বিরোধীদলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের অভিযুক্ত করতে পর্যায়ক্রমিকভাবে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করছে সরকার। এক্ষেত্রে তারা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদলের শক্তিধর প্রার্থীদের অযোগ্য করতে বর্ধিত সময়েও রাতে আদালতে বিচার করছে।

[৬] বিবৃতিতে তারা বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ৪টি সুপারিশ তুলে ধরেছে। 

[৬.১] প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা, নিজের স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত সততাকে যাতে সম্মান করা হয়, সুরক্ষিত রাখা হয়- তা নিশ্চিত করতে হবে।

[৬.২] অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে সব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। খেয়ালখুশিমতো আটক অধিকারকর্মী এবং বিরোধীদলীয় সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ বিচারিক প্রক্রিয়া। [৬.৩] ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের পূর্ণাঙ্গ এবং পক্ষপাতহীন তদন্ত করতে হবে। এর মধ্যে থাকবে মৃত্যু এবং নির্যাতনের অভিযোগগুলোও।

[৬.৪] আন্তর্জাতিকমানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডাটা সুরক্ষা আইনের খসড়াকে পুনর্মূল্যায়ন এবং রিভাইস করতে হবে। নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও অধিকারকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।

[৭] যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী সংগঠনগুলো হলো রবার্ট এ. কেনেডি হিউম্যান রাইটস (আরএফকেএইচআর), ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রজেক্ট (সিপিজেপি), দ্য ইউনাইটেড এগেইনস্ট টর্চার কনসোর্টিয়াম (ইউএটিসি), এশিয়ান ফেডারেশন এগেইনস্ট ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপেয়ান্সেস (এএফএডি), এন্টি-ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক (এডিপিএএন) এবং ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন এগেইনস্ট এনফোর্সড ডিজঅ্যাপেয়ারেন্সেস (আইসিএইডি)। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না